স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকায় অবস্থিত জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, পাসপোর্ট অফিস, জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস এবং বিএডিসি’র বীজ ও সার বিক্রয় কেন্দ্রসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় পথচারীদের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবা প্রত্যাশী, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রাস্তাটি সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের জেলা পরিষদ অফিস মোড় থেকে শুরু হয়ে বিএডিসি’র বীজ ও সার বিক্রয় কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত। রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্ত ও খোয়া উঠে যাওয়ায় যানবাহন ও পায়ে হাঁটা মানুষের চলাচল একপ্রকার দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতায় রাস্তাটি রূপ নেয় কাদাময় জলাশয়ে, সৃষ্টি হয় দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
ব্যবসায়ী কাদির মিয়া জানান, এই রাস্তায় প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু রাস্তাটির এমন অবস্থা যে, হেঁটে চলা দায় হয়ে পড়েছে। অবিলম্বে সংস্কার প্রয়োজন।
ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আব্দুস ছালাম জুনায়েদ বলেন, এই একটি মাত্র রাস্তার দুপাশে চারটি সরকারি দপ্তর। প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত। অথচ রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে। এলাকাবাসী এলজিইডি বিভাগে বারবার সংস্কারের দাবি জানিয়েও কাজ হয়নি।
বিএডিসি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, প্রথম থেকেই রাস্তাটি নিম্নমানের ভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। নিয়মিত সংস্কার না করায় এখন প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদ বলেন, রাস্তা জুড়ে অসংখ্য গর্ত। ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে ট্রাক, লরি, কার, অটোরিকসা ও ভ্যান। বিশেষ করে নারীদের জন্য সমস্যা আরও ভয়াবহ।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পৌর এলাকায় আমরা সরাসরি কাজ করতে পারি না। তবে একটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া উপজেলা পরিষদ চাইলে টিআর বা কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করতে পারে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম কয়েস জানান, জেলা পরিষদ হতে বিএডিসি’র বীজ ও সার গুদাম পর্যন্ত ইট সলিং রাস্তাটি খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে ইট সলিং রাস্তার ইট উলট-পালট হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এখানে অনেকগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেবাদানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবাগ্রহণকারীরা খুবই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে থাকেন। খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের কাছে রাস্তাটি হস্তান্তর করতো তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলে আমরাই রাস্তাটি সংস্কার করে দিতাম। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুবার আবেদন জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের অভাবে বছরের পর বছর ধরে এ রাস্তাটি থেকে যাচ্ছে অবহেলিত। তারা দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জোর দাবি জানিয়েছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
রাস্তা সংস্কারে নেই উদ্যোগ, সেবা নিতে এসে দুর্ভোগে মানুষ
চার দপ্তরে যেতে ভোগান্তির শেষ নেই
- আপলোড সময় : ২৩-০৫-২০২৫ ০৮:২২:১০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৩-০৫-২০২৫ ০৮:২৬:২০ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ